গাংনীতে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যা।স্বামী পলাতক
গাংনী অফিসঃমেহেরপুরের গাংনীতে প্রেম করে বিয়ে করার ৪ বছর পর স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।১ সন্তানের জননী তাসনীম উর্মি নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী আশফাকুজ্জামান প্রিন্স এর বিরুদ্ধে।আশফকুজ্জামান ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
উর্মি উপজেলার চাঁদপুর গ্রাম বর্তমানে বাঁশবাড়ীয়া গ্রামে বসবাসকারী গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে এবং আশফাকুজ্জামান তেরাইল গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।এরা স্বামী স্ত্রী গাংনীর কাথুলী মোড়ের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার পৌর শহরের কাথুলী মোড় এলাকায়।
আজ শুক্রবার সকালে থানা পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে।ঁজানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাতের দিকে উর্মিকে নির্যাতন করে হত্যা করে ঘরের গ্রিলের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। স্থানীয়রা হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তাসনীম উর্মি কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রী এবং আশফাকুজ্জামান কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র।তারা ৪ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করে।তাদের পরিবারে ১ বছর ২ মাস বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
হত্যা নিয়ে উর্মির বাবা গোলাম কিবরিয়া জানান,বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে প্রায়শঃ নির্যাতন করতো। আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে।আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
কি কারনে আশফাক তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে তা জানা না গেলেও স্থানীয়দের ধারণা আশফাক মাদকাসক্ত ছিল।স্ত্রীর সাথে প্রায়শঃ পরিবারিক কলহ লেগে থাকতো।নেশার টাকা না পেয়ে আশফাক তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছেন প্রতিবেশীরা।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে।ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানার পর লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।