নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
দেশব্যাপী বুস্টার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একদিনে ৭৫ লাখ মানুষকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে মেহেরপুর জেলাতেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা প্রদান করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বুস্টার ডোজ দেওয়ার চিত্র চোখে মিললেও গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চিত্র ছিল ভিন্ন। সকাল থেকে টিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও দুপুর ২ টার দিকে তা থমকে যায়। অসংখ্য মানুষকে টিকা গ্রহণ না করে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। তিনারা জানান, দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর সিরিন্জ নেই বলে টিকা গ্রহণ না করেই তারা বাসায় ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন।
কাজীপুর ১নং ওয়ার্ড গোলাম বাজার কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট ইনছান আরা জানান, ১৮ বছরের বেশি যে কেউ দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পূর্ণ হলে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার টিকা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
টিকা না পেয়ে ফিরে যাবার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে জানান, এখানে উপস্থিত অনেকেই টিকা নিয়েছেন। তবে সিরিন্জ শেষ হওয়ার কারণে কেউ কেউ টিকা গ্রহণ হতে বঞ্চিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, উক্ত কেন্দ্রে ৫০০ জনকে টিকা প্রদান করার কথা থাকলেও অতিরিক্ত ২০০ টিকা নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ৫০০ জনকে টিকা প্রদানের পর সিরিন্জ শেষ হলে বিপত্তি সৃষ্টি হয়। তিনি জানান, সিরিন্জ সংখ্যা টিকা অনুযায়ী কম রয়েছে, তাছাড়া কিছু সিরিন্জ নষ্টও হয়।
উল্লেখ্য, সারাদেশব্যাপী এ ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ের ওয়ার্ডেও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের ৬২৩ টি স্থায়ী ও অস্থায়ী ১৫ হাজার ৫৫৮ টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও কাজীপুর গোলামবাজার কেন্দ্রের অসংখ্য মানুষ টিকা গ্রহণ না করেই বাড়ি ফিরছেন।
কাজীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড থেকে বুস্টার ডোজ নিতে আসা রুপালী, শুকজান, জহুরা, গোলাম রসুলসহ অসংখ্য ব্যক্তিকে সিরিন্জ না থাকায় টিকা গ্রহণ না করে ফিরতে দেখা গেছে।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাঃ জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী মেহেরপুর সমাচার কে বলেন, জেলায় ৩ টি স্থায়ী ও ৬৬ টি অস্থায়ী মোট ৬৯ টি কেন্দ্র থেকে ৩৭ হাজার জনকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কাজীপুর ইউনিয়নের ৩ টি ওয়ার্ডে ৫০০ করে ১৫০০ এবং অতিরিক্ত ৫০০ টিকা পাঠানো হয়েছে। ১নং ওয়ার্ডে ৫০০ টিকা শেষ হবার পর অতিরিক্ত ৫০০ টিকা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিয়ে গেলেও ভুলবশত সিরিন্জ নিয়ে যান নি। যে কারণে টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তবে পরে উক্ত ইউনিয়নে অতিরিক্ত আরো ৫০০ ফাইজার টিকা সর্বমোট ২৫০০ টিকা পাঠানো হয়েছে এবং টিকা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।