মেহেরপুর গাংনীর সাহারবাটি গ্রামে পাওয়ার ট্রিলার প্রতিযোগিতায় দুপক্ষের রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে গাংনী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে দুই জনকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়ায় রেফার করা হয়েছে।
২১ জানুয়ারী শনিবার বিকেলে এ সংঘর্ষ হয়।
আহতদের মধ্যে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে- ধর্মচাকী গ্রামের আরোজউল্লাহর ছেলে রহমতুল্লাহ (১৮), মৃত সাবদুলের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৫৫), জহুরুল ইসলামের দুই ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৩), সাইদুল ইসলাম (২৫), একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩০), বুলু মিয়ার ছেলে জাহিদ হোসেন (২৬), মাজহারুল ইসলামের ছেলে বুলু মিয়া (৪৫)। এদের মধ্যে জহুরুল ইসলামের দুই ছেলেকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন গাংনী হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, সাহারবাটি গ্রামের বালির মাঠে পাওয়ার ট্রিলার ট্রলি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সাহারবাটি গ্রামবাসী। এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা অংশ গ্রহণ করেন। ব্যতিক্রমী এ প্রতিযোগিতায় হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হয়। কার পাওয়ার ট্রিলারের কত শক্তি তা পরীক্ষার মধ্য
দিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন দর্শকরা। প্রতিযোগিতার শেষের দিকে কমিটির লোকজনের সাথে ধর্মচাকী ও হিজলবাড়ীয়া গ্রামের প্রতিযোগিদের বিতর্ক শুরু হয়। কমিটির কর্মকাণ্ড বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে মাঠ ত্যাগ করে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ধর্মচাকী গ্রামের প্রতিযোগিতারা। আর এতেই শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। এতে আহত হন ওই ১২ জন।
এদিকে বিপুল সংখ্যক মানুষের মানুষের মধ্যে এমন সংঘর্ষে দ্বিগবিদিক ছুটতে থাকেন উৎসুক মানুষ। মঞ্চে উপস্থিত জনপ্রতিনিধিরাও বিষ্মিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষ থামাতে সক্ষম হন। এর মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতাও স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান ঘঠনা স্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কেও লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
