গাংনী উপজেলা পরিষদের বাউন্ডারি চত্বরের মধ্যে সরকারি জায়গায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। উপজেলা পরিষদের বাউন্ডারির মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল, উপজেলা ভূমি অফিস, ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন অফিস রয়েছে। ওইসব অফিসে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সংরক্ষিত থাকে। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস চত্বরে বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকে। এ কারণে উপজেলা পরিষদের মূল ফটক কখনোই তালাবদ্ধ না হওয়ায় বিভিন্ন অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল চুরি হওয়ার ভয়ে থাকেন কর্মকর্তারা। তাছাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরের মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
হোটেলগুলোতে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত ও পরিবেশনগতভাবে চরমভাবে স্বাস্থ্যবিধি লংঘিত হচ্ছে। অধিকাংশ হোটেল অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভরপুর। অনেক সময় পচাবাসি খাবার গরম করে পরিবেশন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সরজমিনে গাংনী উপজেলা পরিষদের মধ্যে দেখা যায় সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হোটেল-রেস্তোরাঁ, কাঠের দোকানে পান-সিগারেট বিক্রি করা হচ্ছে। যদিও বিধান রয়েছে অফিস আদালত চত্বরে ধূমপান করা যাবে না। উপজেলা পরিষদের মধ্যে পান-সিগারেটের দোকান থাকায় বিভিন্ন অফিস চত্বরে অবাধে মানুষ ধূমপান করছেন। হোটেল ব্যবসায়ী হান্নান আলী বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনকে মৌখিক জানিয়ে ৩০ বছর আগে হোটেল চালু করেছি। এজন্য কেউ মাসিক ভাড়া কিংবা কোনো আর্থিক সুবিধা নেন না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু বলেন, সরকারি অফিস চত্বরে বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে অবশ্যই সরকারি অফিস ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। যখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ওঠে তখন হয়তো বিষয়টি সেভাবে ভাবেননি তৎকালীন কর্মকর্তারা। পরিষদের অন্য অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।