অনলাইন ডেস্ক:
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভিকটিম খুলনা জেলার দাকোপ থানা এলাকার ০৭ বছর বয়সী নাবালিকা শিশু। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ২য় শ্রেনীর ছাত্রী। গত ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ বিকেলে ভিকটিম তার নিজ বাড়ির উঠানে খেলা করছিলো। তখন আসামী মোঃ আসাদ(২২) সেখানে এসে ভিকটিমকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ বসত ঘরের মধ্যে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়। ভিকটিম চিৎকার করলে আসামী তার মুখ গামছা দিয়ে চেপে ধরে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম বাড়িতে এসে তার মায়ের নিকট বিস্তারিত ঘটনা বলে। ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পরলে তার বাবা চিকিৎসার জন্য দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রে
রণ করেন। এই সংক্রান্তে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে খুলনা জেলার দাকোপ থানায় আসামীর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন৷ ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) এর একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ধর্ষণকারীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। ঘটনার পর থেকে আসামী আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। পরবর্তীতে র্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) এর একটি আভিযানিক দল ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শিশু ধর্ষণকারী ১। মোঃ আসাদ(২২), থানা-দাকোপ, জেলা-খুলনাকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে খুলনা জেলার দাকোপ থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।