গাংনীতে আগুনে পুড়লো দরিদ্র মাছ ব্যবসায়ীর সম্বল।
ভয়েস অফ মেহেরপুর
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামে ভয়াবহক অগ্নিকান্ডে হারান আলী নামের এক দরিদ্র মাছ ব্যবসায়ীর সব সম্বল পুড়ে গেছে। আগুনে বসতবাড়িসহ গোয়াল ঘরে থাকা ২টি গরু পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। এসময় হারান আলীর ছোট বোন রঙ্গিলা ও স্বামীক পরিত্যক্ত বাছেনা খাতুনের ঘরবাড়িও পুড়ে গেছে।
রোববার (১৪ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সাইরপাড়ায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত মাছ ব্যবসায়ী হারান আলী। সে ওই গ্রামের মৃত চান আলীর ছেলে।
জানা গেছে, হারান আলীর ছোট বোন রঙ্গিলা ও স্বামী পরিত্যক্ত বাছেনা খাতুনের বসতঘরের সাথে ছিল হারান আলীর গোয়াল ঘর। আজ সকাল ১১ টার দিকে তার বোন রঙ্গিলা খাতুনের বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। ওইসময় আগুন মুহূর্তে বসতঘর থেকে পাশের গোয়াল ঘর ও খড়ের গাদায় ছড়িয়ে পড়ে। ওইসময় বসতঘরে পরিবারের সদস্যরা ছিলোনা। আগুন ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ততক্ষণে গোয়াল ঘরে থাকা ২টি গরু পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডে বসতঘরের সঙ্গে নগদ সাড়ে ৬ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ও বিভিন্ন মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, এবিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে বামন্দী ফায়ার স্টেশনের পানিবাহী গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ততক্ষনে দরিদ্র মাছ ব্যবসায়ী হারান আলী, তার বোন রঙ্গিলা খাতুন ও বাছেনা খাতুনের সহায় সম্বল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে রয়েছে তিনটি পরিবারের সদস্যরা। গৃহকর্তা হারান আলী বলেন, আগুন লাগার সময় পরিবারের সদস্যরা কেউ ছিলনা। আগুনে পুড়ে আমার সবকিছু ভস্মিভূত হয়েছে।