গাংনী কাজিপুর সীমান্তের দোকানগুলোতে মিলছে যৌন উত্তেজক সিরাপ যা পানে মিটছে ফেনসিডিলের অভাব
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কাজিপুর সীমান্তের প্রায় দোকানে পাওয়া যাচ্ছে যৌন উত্তেজক সিরাপ স্টার ফ্লুট সিরাপ। এটি পান করলে পুরুষের যৌনতা বৃদ্ধি পায় আরেক দিকে যারা ফেনসিডিল খায় ফেনসিডিল না পেলে এই সিরাপটি সেবন করছে দিনে দুপুরে।
কাজিপুর কাচারি বাজার ব্রীজ বাজার দোকানেরা বলছেন এটি ফেনসিডিলের চেয়ে ভয়ানক এটি সেবনে বিকৃত-মস্তিস্ক নষ্ট সহ অকালে মৃত্যুবরন করবে। এলাকায় ফেনসিডিল না পেয়ে এই সিরাপ সেবন করছে অনেকে।
এসব ওষুধ সেবনে বিকৃত চিন্তা কিংবা বিকৃত মস্তিষ্ক কিংবা বিকৃত আবেদন তৈরি করে। এর প্রভাব পড়ে সমাজে।
এ ধরনের ওষুধ সেবনে শুধু যৌন জীবনেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না, ক্রাইম পর্যন্ত হতে পারে। এর থেকে এডিকশন বা আসক্তি হতে পারে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাঈম আকতার আব্বাসী ,ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন ভেজাল যৌন উত্তেজন ওষুধে অনেকেই কেবল যৌন ক্ষমতাই হারান না, ভুগেন দীর্ঘ মেয়াদি রোগে।
বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যেমে এসব ওষুধ বিক্রি করা হয়। এ ওষুধগুলো তৈরি হয় বিভিন্ন ককটেল উপাদান দিয়ে। ফলে সাময়িক শক্তি অনুভব করলেও ভেতরে ভেতরে স্থায়ী ক্ষতির দিকে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব কম মানুষেরই এ ধরনের যৌন উত্তেজক ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এসব ওষুধ সেবন করলে চিরতরে হারাতে পারে যৌন স্বাস্থ্য।
বাংলাদেশে যে সকল ঔষধ, যৌন উত্তেজক হিসেবে লোকজন ব্যবহার করে থাকে সেগুলির অধিকাংশতেই মারাত্মক ক্ষতিকর কিছু মাদক শ্রেনীর উপাদান মিশানো হয়ে থাকে, যার কারণে যিনি এই সকল ভেজাল ঔষধ ব্যবহার করেন তিনি কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা অনুভব করে থাকেন। কিন্তু এর সুদুর প্রসারী ফলাফল মারাত্মক ভয়াভহ, যা শুনলে আপনি হয়তো ব্যবহার করা তো দুরের কথা সেগুলির দিকে ফিরেও তাকাবেন না। এই ঔষধগুলি আমাদের যুবসমাজকে তিল তিল করে ধ্বংস করে চলেছে। যারা এইগুলি কিছু দিন কন্টিনিউ করেন তারা মারাত্মক কিডনি, লিভার এবং যৌন বিকলতায় আক্রান্ত হন যা তাদেরকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
তাই কখনো আপনার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভুল করেও যৌন উত্তেজক ঔষধের দিকে হাত বাড়াবেন না।
ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এ ধরনের ওষুধ বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদিও আজকাল ফার্মেসির বাইরে অনলাইনেও মিলছে এসব ওষুধ যা যৌন স্বাস্থ্যের জন্য হতে পারে মারাত্মক ক্ষতিকর।
গাংনী কাজিপুর এলাকার জনসাধারণ এই সিরাপটি বন্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন ফেনসিডিল যখন অবৈধ তাহলে দেশের তৈরি এই সিরাপ টি অবৈধ এই গুলো যারা সেবন করছেন তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।