গাংনী লাল্টু হত্যার ঘটনায় প্রেমিকা রিমান্ডে

সুজন মাহমুদ
সুজন মাহমুদ
2 Min Read

মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের হাড়াভাঙ্গা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত কূপ থেকে লাল্টু হোসেন (৩৫) নামের এক যুবকের অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার প্রেমিকা সাবিনা খাতুনকে ১ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের ছাইনুদ্দীনের ছেলে খোয়া ভাঙ্গা শ্রমিক লাল্টু গত ১২ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। পরে ১৪ সেপ্টেম্বর তার পরিবারের পক্ষ থেকে গাংনী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সাধারণ ডায়েরির প্রেক্ষিতে পুলিশ লাল্টুকে খুঁজতে মাঠে নামে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, লাল্টু নিখোঁজ হওয়ার পিছনে পার্শ্ববর্তী হাড়াভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী সাবিনা খাতুন জড়িত। জিজ্ঞাসা বাদের জন্য গত ১১ অক্টোবর মঙ্গলবার সাবিনাকে থানায় নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সাবিনা জানায়, তার নিজ বাড়ির আঙ্গিনার কূপের মধ্যে লাল্টুর মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে।

লাল্টুর কীভাবে মৃত্যু হয়েছে বা কে হত্যা করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে সাবিনা জানায়, লাল্টুর সাথে আমার প্রেমের সম্পর্কের কারণে ১২ সেপ্টেম্বার রাতে আমার বাড়ি এসে আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমি বিয়ে করতে না চাইলে, সে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। আমার দোষ হবে ভেবে তাকে বাড়ির উঠানের কূপে মরদেহ ফেলে দিই। সাবিনার এমন তথ্যের ভিত্তিতে ১২ অক্টোবর বুধবার তার বাড়ির পরিত্যক্ত কূপ থেকে লাল্টুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাবিনাকে আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের নামে মামলা হয়।

ওসি তাজুল ইসলাম আরও জানান, লাল্টুকে হত্যা করা হয়েছে নাকি সে নিজে আত্মহত্যা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যদি তাকে হত্যা করা হয়ে থাকে, তাহলে কে বা কারা হত্যার সাথে জড়িত তা জানতে মেহেরপুর আদালতের কাছে সাবিনাকে রিমান্ডের আবেদন করা হলে, বিজ্ঞ আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Share This Article