Voice of meherpur
আলমডাঙ্গা থেকে আলামিন হোসেন: গর্জনের পরেই বর্ষণ আসে কথাটি আবারও প্রমাণিত হলো। ছিট কাপড় কেনা নিয়ে ক্রেতা এবং কর্মচারির মধ্যে বাকবিতন্ডার জেড় ধরে ছুরিকাঘাতে দুইজন নিহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের ভালাইপুর হুচুকপাড়া রোডের প্লাস পয়েন্ট নামে একটি কাপড়ের দোকানে কাপড় কেনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের কয়রাডাঙ্গা গ্রামের আলমসাধু চালক সজল আহমেদ (২৭) ও একই গ্রামের এনজিও কর্মী মামুনুর রশিদ (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ভালাইপুরে মণ্ডল মার্কেটের আশরাফুল গার্মেন্টসে ভালাইপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী ছামিনা খাতুন কাপড় কিনতে আসেন। কাপড়ের মূল্য নির্ধারণ করা নিয়ে কর্মচারী রিমনের সঙ্গে ওই নারীর কথা কাটাকাটি হয় এবং একটি সময় নারী ক্রেতার গায়ে হাত দিয়ে বসেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্থানীয়ভাবে মীমাংসাও করা হয়। এরই জের ধরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই নারীর ছেলের বন্ধু সজল ও মামুনুর রশিদসহ কয়েকজন ভালাইপুর বাজার থেকে কর্মচারী রিমনকে তুলে আনতে যায়। এ সময় খবর পেয়ে রিমনের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ
হয়। একপর্যায়ে সজল ও মামুনুর রশিদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাদের দুজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কিছুক্ষণ পর দুজনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
অপমান হলো একটি তীর, যতই ভুলতে চাইবেন ততই হৃদয়ের গভীরে বিদ্ধ হবেন। কথায় আছে পাথর ছোড়ার আগে পাথর তোলার শক্তি অর্জন করতে হয়, না হলে ঐ পাথরের নিচে পড়েই মরতে হয়।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান জানান, সদর উপজেলার ভালাইপুর এলাকায় কাপড়ের দোকানে কাপড় কেন নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দাম কষাকষি জের ধরে দ্বন্দ্ব তৈরী হলে মীমাংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই দিন রাতেই যেদা যদির রেশ ধরে একপর্যায়ে দুই গ্রুপের ভেতর সংঘর্ষ হলে রিমনের লোকজন দুইজনকে ছুরিকাঘাত করে। পরে দুজনই সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুর রহমান বলেন, দুইজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
ভালোবাসতে শেখ, ভালোবাসা দিতে শেখ তাহলে তোমার জীবনে ভালোবাসার অভাব হবে না।’কথাবার্তায় ক্রোধের পরিমান খাবারের লবনের মত হওয়া উচিত, পরিমিত হলে রুচিকর, অপরিমিত হলে ক্ষতিকর ।যুদ্ধে পরিশ্রম, অশ্রু এবং ঘাম ছাড়া আর কিছুই নেই আবারও প্রমানিত।