নাটোরের গুরুদাসপুরে কুলসুম বেগম (৭৫) নামে এক বৃদ্ধাকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে।
এদিকে নির্যাতনকারীদের মামলায় ভুক্তভোগী বৃদ্ধাকে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের পমপাথুরিয়া গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে। নির্যাতনের শিকার বিধবা নারী ওই এলাকার মৃত সুরত আলীর স্ত্রী।
অসহায় বৃদ্ধা কুলসুম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী অনেক দিন আগে মারা গেছে। আমার চার মেয়ে। সবার বিয়ে হয়েছে। মেঝ মেয়ে রফেলার বিয়ের পর থেকেই জামাই নিয়ে আমার বাসায় তারা বসবাস করে। আমার ছোট মেয়ের বাচ্চা হওয়ার কারণে সবাই হাসপাতালে দেখতে গেছে।
বাসায় আমি আর আমার জামাই ছিলাম। প্রচণ্ড জ্বরের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে জামাই আবুল কাশেম (৫৭) বাজারে গিয়ে ওষুধ কিনে নিয়ে এসে আমার ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় আমার প্রতিবেশী আলমের ছেলে রতন ও বকুলের ছেলে উজ্জল দরজা আটকে হইচই করতে থাকে।
অন্য প্রতিবেশীরা জড়ো করে আমার নামে অপবাদ দেয়। এর পর তারা আমাকে কাঁদাপানির মধ্য দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে একটি ডাবগাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে। দীর্ঘদিন ধরে তারা আমাকে এবং আমার মেয়েজামাইকে গ্রামছাড়া করতে ষড়যন্ত্র করে আসছে।
আমার মেয়ে অসুস্থ থাকায় তারা কোনো মামলা করার সুযোগ পায়নি। অথচ তাদের যড়যন্ত্রে পুলিশ আমার বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে কোনো তদন্ত ছাড়াই আমাকে জেলে পাঠিয়েছে। আমি এই বর্বর নির্যাতনের বিচার চাই।
তবে অভিযুক্ত রতন ও উজ্জল দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা জামাই-শাশুড়ি অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাদের জামাই-শাশুড়িকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বৃদ্ধাকে রশি খুলে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। মামলা নিয়ে বৃদ্ধাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।