বিএনপি মার্কা নির্বাচন ইতিহাসের কালো অধ্যায়ঃ
১৯৭৭ সালের ৩০শে মে এইদিনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এক অদ্ভুত বা আজব নির্বাচন। বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এদিনে আয়োজন করেছিলেন এক বিচিত্র হ্যাঁ/না ভোটের নির্বাচন। ৮৮.১% এর অধিক ভোট পরেছিলো সেই প্রহসনের নির্বাচনে।
১৯৭৮ সালের ৩০ জুন জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি তখন সেনাপ্রধান পদে নিয়োজিত ছিলেন। সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় নির্বাচনের কোন প্রকার সুযোগ নেই। তাই তিনি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে অযোগ্য ছিলেন।তারপরেও জোরপূর্বক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন জিয়া।
১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ,ক্ষমতা গ্রহণের বৈধতা না থাকলেও জোরপূর্বক পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করে সামরিক শাসক জিয়া। সামরিক দল শাসকের ছত্র-ছায়াতে সেবার ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে
৫০.৯৫ ভাগ ভোট জোরপূর্বক আদায় করে নেয় জিয়াউর রহমান
১৯৯১ সালে রাজাকার-জামায়াতদের সহায়তায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলে নেয় খালেদা জিয়া। সরকারে অধিষ্ঠিত হয়েই খালেদা জিয়া তার স্বামী স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান এবং এরশাদের পথ অনুসরণ করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আবারও কলুষিত করে তোলেন। যাকে বিএনপি নাম দিয়েছিল ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং। পাঁচটা মোটরসাইকেলে চড়ে দশ জন সন্ত্রাসী গিয়ে কেন্দ্র দখল করে টপাটপ সিল মেরে নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করার এক অদ্ভূত প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বিএনপি। ‘পাঁচ হুন্ডা দশ গুন্ডা ভোট ঠান্ডা’ হয়ে যায় বিএনপির নির্বাচনী দর্শন।
২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার লোভে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে হাত করে বিএনপি- এমনকি সফলও হঅয় তারা। নির্বাচনে জয়লাভ করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামাত জোট সরকার। প্রহসনের নির্বাচনে সীমাহীন ভোট কারচুপির মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে তারা। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু হতে না হতেই পৈশাচিক রূপ বের হয়ে আসে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদের। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যা, সংখ্যালঘু নির্যাতন ও নারী নির্যাতনের রেকর্ড গড়ে তারা।