মেহেরপুরে সেবিকা নার্গিস খাতুনকে হত্যা শেষে লাশ গুম মামলায় দুই জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরের দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামীদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির আরো কয়েকটি ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের একাধিক সাজা দেওয়া হয়েছে।
দন্ডিতরা হলেন- গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের ফোরকান আলীর ছেলে বাশারুল ইসলাম ও জামির হোসেনের ছেলে ফজর আলী। মামলার অপর আসামি ইয়াকুব হোসেন মৃতবরণ করায় তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। দন্ডিত দুইজনই পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের স্ত্রী নার্গিস খাতুন বামন্দি মাহী ক্লিনিকের সেবিকা হিসেবে চাকরি করতেন। ২০১৮ সালের ৫ আগষ্ট তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে বামন্দির আল ফালাহ ক্লিনিকে যোগদান করেন। ওই দিন তিনি বাড়িতে ফিরতে দেরি হবে জানিয়ে মেয়ে তসলিমা খাতুনকে জানান, ‘তিনি বামন্দির কবরি ক্লিনিকের সামনে আছেন বাড়ি আসতে দেরি হবে। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ থাকায় তার মেয়ে তসলিমা খাতুন গাংনী থানায় একটি জিডি করেন। পরবর্তিতে ১৮ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে তসলিমা খাতুন একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বিশ^জিৎ কুমার তদন্তকালে সাহেবনগর গ্রামের বাশারুল ও ফজর আলীকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য মতে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি বাশারুলের বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে নার্গিসের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে দন্ডবিধির ৩০২/৩৬৪/৩৭৯/২০১ ধারায় বাশারুল ইসলাম, ফজর আলী ও ইয়াকুব হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক এবং আসামী পক্ষে কামরুল হাসান ও আতাউর রহমান কৌশুলী ছিলেন।
মামলায় রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নার্গিস খাতুনের মেয়ে তসলিমা খাতুন বলেন, আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি কার্যকর করা হোক।