মেহেরপুর কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপী গণ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদের হামলায় শ্যামলী পরিবহনের চালক ও চালকের সহকারি আহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলার আকুবপুর নামক শেষ অংশের স্থানে এ ঘটনা ঘটে।ডাকাতের কবলে পড়া শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী হাফিজুর রহমান জানান, কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স, হাইস, মাইক্রোবাস, আলগামন নসিমনসহ বেশ কয়েকটি গাড়ির গতিরোধ করে ডাকাত দলের সদস্যরা। ২০-২৫ জনের ডাকাত দলের সদস্যরা ৬-৮ গাড়িতে ডাকাতি করে প্রায় ২০-২৫ জন পথচারীর টাকা পয়সাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, সড়কের উপরে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে, দেশীও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক শ্যামলী গাড়িতে ভেতরে প্রবেশ করতে চাই। চালক মুস্তাফিজুর রহমান স্বপন ও তার সহকারি বাধা প্রদান করেন। একপর্যায়ে জোরপূর্বক গাড়ির দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে শ্যামলী পরিবহনের চালক মোস্তাফিজুর রহমান স্বপনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এবং চালকের সহকারীকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে,শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে চালক স্বপনের শারীরিক অবস্থার আরাে অবনতি দেখা দিলে,তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।শ্যামলী পরিবহনের চালক মোস্তাফিজুর রহমান স্বপনের ভাই হাফিজুল ইসলাম জানান, ডাকাতদলের সদস্যরা স্বপনের মুখের ঠোঁট থেকে নাক বরাবর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের আকুবপুর গ্রামের মেম্বার কামরুল ইসলাম জানান আমি সকালে জানতে পারলাম আমাদের গাংনী উপজেলার শেষ মাথায় রাতে অনেক গুলো গাড়ি ঠেকিয়ে ডাকাতি করা হয়েছে। তবে কত জন আহত হয়েছে আমি বলতে পারছিনা।গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, ডাকাতির ঘটনার খবর পাওয়ার পরে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতদের আটকের জন্য পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।