ভয়েস অব মেহেরপুর
আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়ায় স্বতন্ত্র ‘ঈগল’ প্রতীকের সর্মথকের বাড়িতে ‘নৌকা’ সর্মথকদের বিরুদ্ধে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের হাটবোয়ালিয়ার নগরবোয়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে হাটবোয়ালিয়া ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ ঘটনা সম্পর্কে ভাংবাড়ীয়া ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রিপন বিশ্বাস বলেন, ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জিনারুল ইসলাম বিশ্বাস ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মামুনের নেতৃত্বে নৌকার কর্মীরা আমীর আলীর বাড়িতে ভাঙচুর করেছে। এ নিয়ে আমীর আলীর ছেলে লিটন আলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তিনি জানান, সন্ধ্যায় নৌকার কয়েকজন কর্মী সর্মথকরা নগরবোয়ালিয়া গ্রামে ঈগলের কিছু পোস্টার ছিড়ে দেয়। এ নিয়ে আমীর আলীর ছেলে লিটন আলীর সঙ্গে নৌকার কর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে জিনারুল ইসলাম ও মামুনের কিছু লোকজন লিটন আলীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১ নম্বর জয়েন্ট সেক্রেটারি জিনারুল ইসলাম বলেন, ‘হামলা ও ভাঙচুর বলতে কয়েকজন নেতাকর্মী আমির আলীর বাড়ির টিনের দেওয়ালে লাঠিসোটা দিয়ে কয়েকটি আঘাত করেছে। কোন প্রাথীর পোস্টার ছেড়া নিয়ে এর সূত্রপাত হয়নি। ওই এলাকার মেম্বার রিপন বিশ্বাস এমনকি লিটনও সম্পর্কে আমার নিকট আত্মীয়। তারা শনিবার বিকেলে আমার কাছে নৌকার পক্ষে ভোট করার জন্য কিছু টাকা চাই। আমি প্রতিদিন ৩ হাজার টাকা করে দিতেও রাজি হয়। এদিকে, আজ (গতকাল) বিকেলে আমিসহ আ. লীগ ও যুবলীগের বেশকিছু কর্মী নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। প্রচারণার সময় নগরবেয়ালিয়া গ্রামে রিপন মেম্বার ও লিটনের সঙ্গে দেখা হয়। এসময় জানতে পারি তারা ‘ঈগল’ প্রতীকের প্রার্থী দিলীপ কুমারের জন্য কাজ শুরু করেছে। কাল নৌকার পক্ষে কাজ করার কথা বলে আজ ঈগলের পক্ষে প্রচার করার কারণ জানতে চাইলে লিটন আমাকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনার পর আমরা সেখান থেকে চলে আসি। রাত সাড়ে ৯টা-১০টার দিকে জানতে পারি কয়েকজন নেতাকর্মী লিটন আলীর বাড়ির টিনের দেওয়ালে লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করেছে। শুনেছি এ নিয়ে লিটন আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
হাটবোয়ালিয়া ক্যাম্প ইনচার্জ (এসআই) ফেরদৌস বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। রাতে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে জানতে গতকাল রাতে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গনি মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।