দেশের ইতিহাসের সবচাইতে বড় নিয়োগে এ বছরের শুরুতে নিয়োগ পাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন পাওয়া নিয়ে প্রতিমাসেই চলছে টানাহেঁচড়া। পিইডিপি-৪ এর অধীনে নিয়মিত বেতন পাওয়ার কথা এই নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের। কিন্তু শুরু থেকেই বেতনের সময়ে প্রতিবারই ঝামেলার ভিতরে পড়ছেন, এই নবীন শিক্ষকেরা। গত জুন মাসের বেতন নিয়ে এখন পর্যন্ত বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখা গেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বেশকিছু উপজেলায়। এসব উপজেলায় নবীন শিক্ষকেরা এখন পর্যন্ত তাদের প্রাপ্য বেতন ভাতাদি কিছুই পাননি। অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ অতিক্রান্ত হলেও, হাতে গোনা কয়েকটি উপজেলা বাদে দেশের বেশিরভাগ উপজেলার নবীন শিক্ষকেরা এখন পর্যন্ত জুলাই মাসের বেতন হাতে পাননি। যেখানে আমাদের দেশে একটি সরকারি চাকরি মানে সুনিশ্চিত জীবন ধরে নেওয়া হয়, সেখানে চাকরির শুরু থেকেই বেতন নিয়ে ভোগান্তির ভিতরে পড়েছেন দেশ গড়ার কারিগরেরা। বেকারজীবন শেষে একটি চাকরি পাওয়ার পরেও সংসার চালানোর জন্য হাতে পাচ্ছেন না কানাকড়িও। এনিয়ে তরুণ এই শিক্ষকদের ভিতরে হতাশা লক্ষ্য করা গেছে। চাকরি পাওয়ার পরেও যেন তাদের ‘বেকার জীবনের শেষ হইয়াও হইলো না শেষ’।
তরুণ এ শিক্ষকেরা দুষছেন আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্তহীনতা আর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসগুলোর গাফিলতিকে। অদক্ষ ও অপর্যাপ্ত জনবল নিয়ে কাজ করে চলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস গুলো শিক্ষকদের সহায়তার বদলে নতুন নতুন ভোগান্তি সৃষ্টি করে চলেছে বলে বেশিরভাগ শিক্ষক জানিয়েছেন।
কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন পিইডিপি-৪ এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪), অতিরিক্ত সচিব জনাব দিলীপ কুমার বণিক– এর নিকট ফোন দিলে, তিনি উপজেলা অফিস গুলোতে যোগাযোগের কথা জানান তাঁদেরকে।
অপরদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস গুলোর দাবি প্রণোদনার অর্থ ছাড় না পাওয়ায় তাঁরা অনলাইনে বেতন বিল সাবমিট করতে পারছেন না। প্রশ্ন জাগে যে, তাহলে কিছু উপজেলায় বেতন কিভাবে সম্ভব হলো।
নব্য নিয়োগ প্রাপ্ত এই শিক্ষকেরা এই আমলাতান্ত্রিক সমস্যার অতিদ্রুত সমাধান চান, নইলে তাঁরা সম্মিলিতভাবে আন্দোলনে নামবেন বলে জানান।