বাংলাদেশে সর্পদংশন একটি প্রাচীন এবং অবহেলিত জনস্বাস্থ্য সমস্যা। প্রতিবছর ৫ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ সর্পদংশনে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে প্রায় ৬ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গত ৬ মে প্রকাশিত এক নির্দেশিকায় এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের নন কনভেনশনাল এনসিডি কম্পোনেন্টের উদ্যোগে সর্পদংশন বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ নির্দেশিকাটি প্রকাশ করা হয়।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ও দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমীন বলেন, সর্পদংশনের প্রকোপ বরিশাল এবং খুলনা অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সাধারনত গ্রামাঞ্চলে ঘরের বাহিরে কর্মরত জনগোষ্ঠী যেমন কৃষক, জেলে, শ্রমিক ও দিন মজুর শ্রেণি বেশি আক্রান্ত হয়। সর্পদংশনের প্রকোপ সাধারনত সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যায় বর্ষাকালে। বর্তমান জনকল্যানকামী সরকার উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে সাপের বিষের প্রতিষেধক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কনট্রোল (এনসিডিসি) সর্প দংশনের চিকিৎসা, মৃত্যু প্রতিরোধ ও দেশব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পূর্ণ শক্তি নিয়োগের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এজন একটি প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে। এটি স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর বলেন, এই প্রশিক্ষণ নির্দেশিকাটি প্রণয়নের আগে চাহিদা নিরূপন ও বাস্তবতা যাচাইয়ে এনসিডিসি প্রোগ্রামের আয়োজনে কর্মশালা করা হয়েছে। বিষয়বস্তু নির্ধারনে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ের চিকিৎসক পরামর্শক এবং গবেষকদের মতামত নেওয়া হয়েছে