গতকাল যে কবি সিগারেট কিনতে রাস্তা পার হচ্ছিল
সে মারা গেছে।
তূর্ণানিশীথা বা নকশীকাঁথা অথবা এগারসিন্ধু চলে গেছে গন্তব্য তাকে মাড়িয়ে।
নিউজ হয়েছে সব পোর্টালে;
ছিন্ন- ভিন্ন ছবিতে ফেসবুক সারাদিন খুবই বর্ণিল!
লাইভ করেছে একাধিক ধানী জমি, রক্তাক্ত স্লিপার
আর শ্রাবণের মায়াবী আকাশ।
নিউজ হওয়ারই কথা…
কবির পাঁজর খানখান হওয়ার পর
আসেনি একফোঁটা রক্তও…
এসেছে নীল কাম
আর চাপ চাপ প্রেম
সুরতহালে দেখা গেছে, তার শরীরটায় এক খন্ড হৃদয়….
তার খুলি বিচূর্ণ হওয়ার পরও
বিশ্রী রঙের মগজের বদলে বেড়িয়েছে জমাট বাঁধা যন্ত্রণা, টাফনিল আর নিকোটিন…
তার বুক পকেটে সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট
মিলেছে এক,
তাতে লেখা ছিল, ” এই পৃথিবীতে পার্থদের প্রার্থিতা বন্ধ হোক…
আমি সব শালা কে চিনি। “
তার মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে পাওয়া গেছে —
এক মুঠো সূর্য না উঠা দিন।
তূর্ণানিশীথা, নকশীকাঁথা, এগারসিন্ধু অথবা শার্টেল গন্তব্যে পৌঁছেছে এতক্ষণে নিশ্চয়….
আমাদের দেশের রেলগাড়ির নাম গুলো কত রোমান্টিক!!
তাই না??
৩০ জুলাই ২০২২ খ্রিঃ
সকাল ০৯টা।
কবিতা | রোমান্টিক রেল গাড়ি | শ্বাশত নিপ্পন
শ্বাশত নিপ্পন মেহেরপুরের শিল্প-সাহিত্যে অতিপরিচিত মানুষদের একজন। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি অবিরাম সাহিত্য সাধনার জড়িত। ছোট গল্প নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাথে কবিতা রচনা করছেন নিয়মিত।

সাহিত্য বিভাগে আপনার লেখা প্রকাশের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
Leave a comment
Leave a comment